প্রকাশিত: 20/10/2019
যশোরের শার্শার পল্লীতে এক গ্রাম্য মাতব্বরের মেয়ের অসামাজিক কার্যকলাপের ভিডিও ধারণ করায় মহিবুল নামের এক যুবককে গুম করার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ক্যাডারদের
বিরুদ্ধে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই যুবককে তার বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যাবার পর থেকে কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। নিখোঁজ মহিবুল শার্শা উপজেলার কায়বা গ্রামের শুকুর আলী ধোবেনের ছেলে।
এদিকে ছেলের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় স্ট্রোক করে শয্যাশায়ী হয়েছে মহিবুলের বাবা। জানা গেছে, কায়বা গ্রামের মাতব্বর ও ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ফিরোজ হাসান টিংকুর ক্যাডার দাউদের মেয়ে
শুক্রবার পার্শ্ববর্তী সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার সাতপোতা গ্রামের ইব্রাহীম নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়। বিষয়টি দেখতে পেয়ে মহিবুল ভিডিও করে। ভিডিও করার ঘটনাটি
জানাজানি হলে গ্রাম্য মাতব্বররা অসামাজিক কাজের বিচার না করে উল্টো মহিবুলের ওপর দোষ চাপিয়ে দেয়। ভিডিও করায় মহিবুলের পরিবারের কাছে চেয়ারম্যান টিংকুর ক্যাডাররা দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় শুক্রবার সন্ধ্যায় চেয়ারম্যানের ক্যাডার দাউদ, ভাবলু, রফিকুলসহ ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহিবুলকে বাড়ি থেকে ধরে চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে যায়। এরপর থেকে মহিবুলকে পাওয়া যাচ্ছে না।
মহিবুলের মা মাছুরা খাতুন জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান টিংকুর কাছে নিয়ে যাচ্ছি বলে দাউদ, ভাবলু ও রফিকুলসহ ১০-১২ জন লোক জোর করে আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে যায়।
তারা বলেছে তোমার ছেলে যে অন্যায় করেছে তাকে থানায় দিতে হবে। চেয়ারম্যান টিংকুর নির্দেশে তার ক্যাডারদের দাবিকৃত দুই লাখ টাকা না দেয়ায় মহিবুলকে গুম করা হয়েছে। কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহম্মেদ
টিংকুর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছেলেটিকে নিয়ে আসার পর তাকে দাউদের মাধ্যমে থানায় পাঠিয়েছি। পুলিশের কাছে দেয়ার পর আমার দায়-দায়িত্ব শেষ। তবে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান জানান,
থানায় কেউ কাউকে হস্তান্তর করেনি। আমরা কারো কাছ থেকে কাউকে বুঝে নেইনি। কেউ কোনো অভিযোগও করেনি। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।