নুসরাত হত্যা মামলার ১৬ আসামিকে কনডেম সেলে পাঠাতে চিঠি

প্রকাশিত: 28/10/2019

নিজস্ব প্রতিবেদন

নুসরাত হত্যা মামলার ১৬ আসামিকে কনডেম সেলে পাঠাতে চিঠি

নুসরাত হত্যা মামলার ১৬ আসামিকে কনডেম সেলে পাঠাতে চিঠি


নুসরাত হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামিকে কুমিল্লা কারাগারের কনডেম সেলে পাঠানোর জন্য কারা মহাপরিদর্শক কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ফেনী জেলা কারাগারে আলাদা আলাদা  কনডেম সেল না থাকায় ফেনী জেলা কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান।আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) ফেনী জেলা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রফিকুল  বলেন, 'ফেনী জেলা কারাগারে থাকা নুসরাত হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামি যেসব সেলে রয়েছে, সেসব সেলে থাকা অন্য আসামিদেরও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।'

ফেনী জেলা কারাগার সূত্রে জানা গেছে,

ফেনী জেলা কারাগারে কোনো কনডেম সেল নেই। এজন্য নুসরাত হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামিকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানোর জন্য আইজি প্রিজনের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কারণ কুমিল্লা কারাগারে অনেকগুলো কনডেম সেল রয়েছে। সেসব কনডেম সেল ফাঁকা থাকলে আসামিদের সেখানে পাঠানো হবে। সেখানে ফাঁকা না থাকলে কাশিমপুরসহ যেসব কেন্দ্রীয় কারাগারে কনডেম সেল ফাঁকা রয়েছে, সেখানে আসামিদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে।গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে তার মায়ের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে। পরে ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসাকেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে গেলে নুসরাতকে কৌশলে মাদরাসার প্রশাসনিক ভবন কাম সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে ডেকে নিয়ে যেয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় এই আসামীরা। ৮ এপ্রিল নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান আটজনের নাম উল্লেখ্য পরিচয়ে আরো চারজনকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মাদরাসা অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা তুলে নিতে স্বীকার না হওয়া কারণে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এরপর মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। আসামি করা হয় মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজকে।এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।খুব তারাতারি সময়ের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় আসামিদের। অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ১২ আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাঁদের কথা  অনুযায়ী, অধ্যক্ষের নির্দেশেই তাঁরা নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে তাকে হত্যা করেছেন।

তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ১৬ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ করে গত ২৮ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। গত ২৪ অক্টোবর মামলার রায়ে ১৬ আসামির প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। 

আরও পড়ুন

×