দুদকের বারান্দায় ক্ষমতাশালী অনেককেই আসতে হয়েছে : ইকবাল মাহমুদ

প্রকাশিত: 09/03/2021

নিজস্ব প্রতিবেদন :

দুদকের বারান্দায় ক্ষমতাশালী অনেককেই আসতে হয়েছে : ইকবাল মাহমুদ

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমাজের প্রতিক্ষেত্রে একটি বার্তা দিতে পেরেছে যে, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।

আজ সোমবার দুদক কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের বিদায়ী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

বিদায় বেলায় তিনি বলেন, তৃপ্তি তেমন নেই। জনগণ যেভাবে চায়, আমরা সেভাবে কিছু করে দেখাতে পারিনি। তবে সফলতা হচ্ছে, দুদকের বারান্দায় ক্ষমতাশালী অনেককেই আসতে হয়েছে।

কাজ করতে গিয়ে কী ধরনের চাপের সম্মুখীন হয়েছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি কোনো কাজে চাপ অনুভব করিনি। কোনো মন্ত্রী-এমপি এখানে তদবির করতে আমার দায়িত্ব পালনের পাঁচ বছরে আসেনি। তবে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছি।

দুদকের দুর্বলতার ব্যাপারে তিনি বলেন, মামলার তদন্ত করার মতো যোগ্য কর্মীর দুদকে অভাব রয়েছে। এখানকার কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ঘাটতি রয়েছে। এখানে আরও জনবল দরকার। আমাদের চেষ্টা ছিল শতভাগ মামলায় সাজা দেওয়ার। তার পরও ২০২০ সালে ৭৭ শতাংশ মামলায় সাজা হয়েছে।

কর্মকর্তাদের দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক তদারকি করি। আমাদের নিজস্ব গোয়েন্দা টিম রয়েছে। বিভিন্ন অপরাধে পাঁচ থেকে ছয় কর্মকর্তার চাকরি চলে গেছে। অনেক কর্মকর্তার পদ অবনতি করা হয়েছে। শাস্তি হিসেবে অনেককেই অন্যত্র বদলি করে দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরাও একদমই স্বাধীন নই। আমাদের ওপরে আদালত রয়েছে। সেখানে আমাদের জবাবদিহি করতে হয়। একটি মামলার রিপোর্ট দিলেই হবে না। যদি সেটি আদালতে প্রমাণ করতে না পারি। তবে প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা থাকবেই। সমালোচনা হচ্ছে অলঙ্কার।

এছাড়া দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, দুদক যথেষ্ট শক্তিশালী একটি প্রতিষ্ঠান। দুদকের যে আইন আছে তা দিয়ে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব। তবে এ ক্ষেত্রে জনগণের সহযোগিতা লাগবে। 

আরও পড়ুন

×