প্রকাশিত: 03/11/2020
সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদের ভাই রাজধানীর গুলশানের বাসিন্দা মরহুম পাইলট মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের দুই মেয়ে মুশফিকা মোস্তফা ও মোবাশ্বেরা মোস্তফার কাছে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের প্রবেশ নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে পর্যবেক্ষণের জন্য গুলশান থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সেইসঙ্গে তাদের বাবার দ্বিতীয় স্ত্রীর পক্ষে ৯ নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা আকারে নথি জমা দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
এই সময় পর্যন্ত দুই বোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। জগলুল ওয়াহিদের দুই মেয়ে ও দ্বিতীয় স্ত্রী আঞ্জু কাপুর গুলশান থানার ওসিকে নিয়ে হাইকোর্টে হাজিরের পর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুই মেয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। আঞ্জু কাপুরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান।
আজ আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ৯ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন রেখেছেন আদালত।
দুই মেয়েকে বাবার বাড়িতে প্রবেশে বাধা দেন তাদের ‘সৎ মা’। গত ২৬ অক্টোবর এ দুই বোনকে অনতিবিলম্বে তাদের গুলশানের বাড়িতে প্রবেশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার পুলিশকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ প্রদান করা হয়।
ওই নির্দেশ মেনে পুলিশ দুই মেয়েকে রাতেই গুলশান ২ নম্বরে (৯৫ নম্বর রোডের ৪ নম্বর বাড়ি) তাদের পৈতৃক বাড়িতে ঢোকার ব্যবস্থা করে। একই সঙ্গে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।
এ ছাড়া ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ওই বাসায় দুই বোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল। পাশাপাশি গুলশান থানার ওসিসহ ৩ নভেম্বর দুই বোন এবং ওই বাড়িতে থাকা আঞ্জু কাপুরকে হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়।
জানা যায়, পাইলট মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদ গত ১০ অক্টোবর মারা যান। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। তার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় ২০০৫ সালে। বড় মেয়ে মুশফিকা লেখাপড়ার জন্য ২০১৩ সালে দেশ ছাড়েন। মোবাশ্বেরা বিয়ের পর আমেরিকা চলে যান।
ফলে মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদ একা হয়ে পড়েন। তখন তার সঙ্গে ভারতের বেঙ্গালুরের মেয়ে আঞ্জু কাপুরের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই সূত্র ধরে ২০১৩ সালে তাদের বিয়ে হয়।
মুশফিকা ও মোবাশ্বেরার অভিযোগ ছিল, তারা গত ২৪ অক্টোবর সকাল থেকে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু তাদের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না।