প্রকাশিত: 12/11/2020
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক বহিষ্কৃত সেই ছাত্রী নিখোঁজ নন, আত্মগোপনে ছিলেন বলে দাবি করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল বুধবার দুপুরে ওই ছাত্রীকে নরসিংদী থেকে আটক করে সিআইডি। সেদিনই বেলা ১১টার দিকে তাঁর স্বামীকে রাজধানীর গুলিস্তান থেকে আটক করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীকে আদালতের মাধ্যমে এক দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পল্টন থানায় সিআইডির করা মামলায় ওই ছাত্রী ও তাঁর স্বামীর তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত শুধু ওই ছাত্রীর একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আজ মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এই দুজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) জামিল আহমদ বলেন, অভিযুক্ত ছাত্রী ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে বিভিন্ন সময়ে ধর্মীয় উসকানিমূলক পোস্ট, মন্তব্য ও তথ্য শেয়ার করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সেই ছাত্রীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে একজন কারাগারে আছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলাও দায়ের করা হবে।’
এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে। একই অভিযোগে তাঁর সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকেও তাঁকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। তিনি সংগঠনটির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেত্রী ছিলেন।
ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে মর্মে সেই ছাত্রী গত ২৩ অক্টোবর পল্লবী থানায় একটি জিডি করেন। ২৭ অক্টোবর তাঁর বড় বোন পল্লবী থানায় সেই ছাত্রী নিখোঁজ হয়েছেন বলে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ২৫ অক্টোবর সকালে তাঁর বোন মিরপুরের পল্লবীর বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের ডিআইজি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গত ২৫ অক্টোবর মিরপুরের পল্লবীর বাসা থেকে বের হয়ে ওই ছাত্রী তাঁর বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করে বাগেরহাট যান। সেখানে তাঁরা বিয়ে করেন। ৯ নভেম্বর তাঁরা ঢাকায় আসেন। পরে নরসিংদীতে স্বামীর এক চাচার বাসায় ওঠেন। সেখান থেকে তাঁকে আটক করা হয়।