প্রকাশিত: 29/10/2019
১৬ আসামির ডেথ রেফারেন্স কপি হাইকোর্টে
নুসরাত হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামির ডেথ রেফারেন্স কপি হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপর দেড়টার দিকে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্টেনোগ্রাফার মো. শামছুদ্দিন আসামিদের মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
শামছুদ্দিন জানান,
নুসরাত হত্যা মামলার ২১১ পৃষ্ঠার রায়সহ ২ হাজার ৩২৭ পাতার নথি হাইকোর্টে জমা দেয়া হবে বলে জানান। তিনি অফিসের গাড়িতে ঢাকা যাচ্ছেন। তার সঙ্গে ২ জন পুলিশ সদস্য ও রয়েছে।
নুসরাত চলতি বছরের ৬ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় আলিম পরীক্ষা কেন্দ্রে গেলে তাকে ছাদে ডেকে নিয়ে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল । এ ব্যাপারে নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদি হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাতের মৃত্যু ঘটে।
পরে এই মামলা পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন এর কাছে হস্তান্তর করা হয়।পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন চলতি বছরের ২৯ মে ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতের কাছে চার্জশিট দাখিল করেন।
আদালত ২৭ জুন হতে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মোট ৬১ কার্যদিবসে ৮৭জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ২৪ অক্টোবর রায় ঘোষণা করেন। রায়ে অভিযুক্ত আসামি ১৬ জনের সবাইকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে।
১৬ জন আসামি হলেন, ১) সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা, ২) ফাজিল শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন শামীম, ৩) নুর উদ্দিন, ৪) মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সাবেক সহসভাপতি ও সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্য বিদায়ী সভাপতি রুহুল আমিন, ৫) মাদরাসার ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আবসার উদ্দিন, ৬) সোনাগাজী পৌর কাউন্সিলর মকসুদ আলম, ৭) হাফেজ আব্দুল কাদের, ৮) উম্মে সুলতানা পপি,৯) কামরুন নাহার মনি, ১০) ইফতেখার উদ্দিন রানা, ১১) এমরান হোসেন মামুন,১২) মহিউদ্দিন শাকিল, ১৩) মো. শরিফ, ১৪) আবদুর রহিম শরিফ, ১৫) সাইফুর রহমান জোবায়ের ও ১৬) জাবেদ হোসেন।