প্রকাশিত: 05/12/2019
বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালতের ওপর অবৈধ চাপ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন: অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম
বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালতের ওপর অবৈধ চাপ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন। এ মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার জামিনের শুনানিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সামনে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে এই সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা। সেখানেই অ্যাটর্নি জেনারেল কথাগুলো বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সম্মেলনে বলেন, গত তারিখে খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন করা হয়েছিল তাঁর স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে। তখন আপিল বিভাগ তাঁর স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা জানতে চেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষের কাছে থেকে একটি স্বাস্থ্যগত রিপোর্ট চেয়েছিলেন।
বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, যেহেতু খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন বিষয়ে নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে, তাই এর রিপোর্ট দিতে সপ্তাহখানেক সময়তো লাগবে। আদালত যখন এ বিষয়টি জানিয়ে আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ধার্য করলেন, তখনই বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালতে চরম হট্টগোল ও গন্ডগোল শুরু করেন ।
মাহবুবে আলম আরও বলেন, তাঁরা যে বিশৃঙ্খলার শুরু করেছেন, এটা অভাবনীয়। আমাদের বয়সে এ ধরনের বিশৃঙ্খলা আদালতে আমরা আগে কখনো দেখিনি।
তিনি বলেন, তারা আদালতকে অবমাননাকর অবস্থায় নিয়ে গেছেন। জনসভায় যেমন হট্টগোল হয়, তেমন হট্টগোল আদালতে করেছেন তারা । আদালতের ওপর অবৈধ চাপ সৃষ্টির জন্য বাইরের আন্দোলনকে এজলাসের মধ্যে নিয়ে এসেছে। তাদের বিশৃঙ্খলার জন্য আদালতে একপর্যায়ে উঠে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এটা অতি লজ্জাজনক। এর প্রতিবাদ জানাই আমরা ।
এভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।সংবাদ সম্মেলনে এরপর বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন। বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা সুপ্রিম কোর্টে আমি আমার জীবনে দেখিনি। একজন ব্যক্তি বিচারের জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁর পক্ষে তাঁর আইনজীবীরা আবেদন করেছেন জামিনের জন্য
তাদের দরখাস্তের জন্যই সুপ্রিম কোর্ট মেডিকেল রিপোর্ট চেয়েছিল। মেডিকেল রিপোর্ট না আসায় তারা আজকে যে অভাবনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন, তা সত্যিই দুঃখজনক বিষয় । আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।’ এর মাধ্যমে বিচার বিভাগের প্রতি তাদের অনাস্থা প্রমাণ করল। তারা যে আইনের শাসনে বিশ্বাস করে না, সেটাই প্রমাণিত হলো। তারা আইন-আদালতকে মানে না।