প্রকাশিত: 24/02/2020
আজ সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদুর রহমান ও মোহাম্মদ জসীম অস্ত্র ও মাদকের পৃথক তিন মামলায় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের ৫ দিন করে মোট ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
১৫ দিনের রিমান্ডের মধ্যে বিমানবন্দর থানার জাল টাকা উদ্ধারের মামলায় ৫ দিন এবং শেরেবাংলা নগর থানার অস্ত্র ও মাদক আইন দায়ের করা মামলায় ৫ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে রোববার সকালে রাজধানীর ফার্মগেট ইন্দিরা রোডে পাপিয়ার বাসায় অভিযান চালিয়ে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, ৫ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেক, বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করেছে র্যাব।
রাজধানী ও নরসিংদীতে পাপিয়ার বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়িসহ নামে-বেনামে বিপুল অর্থের সন্ধান পায় র্যাব। রাজধানীর বিভিন্ন পাঁচতারকা হোটেলে নারীদের অনৈতিক কাজে বাধ্য করে অর্থ আয় করতেন তিনি। এ ছাড়া রেলওয়ে ও পুলিশে এসআই পদে চাকরির কথা বলে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এছাড়া যুবলীগ নেত্রী পাপিয়ার প্রকাশ্য আয়ের কোন উৎস গাড়ি বিক্রি ও সার্ভিসিংয়ের ব্যবসা।এর আড়ালে জাল মুদ্রা সরবরাহ, বিদেশে অর্থপাচার এবং অবৈধ অস্ত্র রাখাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এর আগে শনিবার দুপুরে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশত্যাগের সময় শামীমা নূর পাপিয়া সহ চারজনকে আটক করে র্যাব-১। এছাড়া আটককৃত অপর আসামিরা হলেন পাপিয়ার স্বামী সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮), সাব্বির খন্দকার (২৯) ও শেখ তায়্যিবা (২২)।
গ্রেফতারের পর গতকাল রোববার বিকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল বলেন, চাকরিপ্রত্যাশী নারীদের দেহব্যবসায় বাধ্য করতেন শামীমা নূর পাপিয়া।
আর অনৈতিক কর্মের ভিডিও ধারণ করে ব্যবসায়ীদের ব্ল্যাকমেইল করতেন। এ দুই উপায়ে তিনি শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। অস্ত্র ও মাদক মজুদের পাশাপাশি কিউঅ্যান্ডসি নামে ক্যাডার বাহিনীও গঠন করেছেন।
র্যাব আরো জানান, পাপিয়ার স্বামীর থাইল্যান্ডে বারের ব্যবসা রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অস্ত্র-মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।