ফুলবাড়ীতে প্রতিপক্ষের হামলায় ৬ জন আহত আটক আসামীকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ বাদীর

ফুলবাড়ীতে প্রতিপক্ষের হামলায় ৬ জন আহত আটক আসামীকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ বাদীর

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ৬ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে, গত সোমবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬ টায় ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ বাসুদেবপুর গ্রামে। এ ঘটনায় মো. খোরশেদুল আলম বাদী হয়ে ওইদিন রাতে ১১ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং ১৩ তারিখ-২০/০৪/২০২০ইং।

থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ বাসুদেবপুর গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মজিদ (৭০), আব্দুল মজিদের ছেলে মাসুদ (৩৫), রুবেল (৩০) ও জুয়েল রানা (২৭), একই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে সোহেল (২৮), একরামুল হকের ছেলে ইব্রাহিম (২৫), মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে নওশাদ (২৮), মৃত শুকুর আলীর ছেলে তালেব (২৬), একই ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের মৃত বেলাল হোসেনের ছেলে মাসুম আলী (২৫), আব্দুল কাদেরের ছেলে সোহাগ (২৪) এবং মৃত বেলাল হোসেনের ছেলে শাহিন (২২) ঘটনার সময় দলবদ্ধ হয়ে লাঠিসোটা, লোহার রড, হাসুয়া, দা, ছোরা প্রভৃতি অস্ত্র নিয়ে খোরশেদুল আলমের খুলিয়ানে প্রবেশ করে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে।

এ সময় খোরশেদুল আলমসহ তার লোকজন প্রতিবাদ করলে আব্দুল মজিদের নির্দেশে অন্যান্য সঙ্গীরা মারপিট শুরু করে। এতে ৬ জন আহত হন। আহতরা হলেন, ওহিদুল ইসলামের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩২), মৃত আলিম উদ্দিনের ছেলে ওহিদুল ইসলাম (৫৮), আশরাফ আলীর ছেলে আসাদুল ইসলাম (৬০), আসাদুল ইসলামের ছেলে

আতিকুর রহমান (২৬), মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে তাঞ্জিল হোসেন (২২) ও খোরশেদুল ইসলামের ছেলে সাথিল ইসলাম (১৭)। এদের মধ্যে আলমগীর হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টায় প্রভাষক মঞ্জিল মোরশেদের মিল চাতালে সামাজিক শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ওই মামলার বাদী খোরশেদুল আলম ও তার ছোটভাই প্রভাষক মঞ্জিল মোরশেদ।

সংবাদ সম্মেলনে মঞ্জিল মোরশেদ অভিযোগ করে বলেন, ‘হামলাকারীরা আমাদের খুলিয়ানে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অনাধিকার প্রবেশ করে গালিগালাজ করার পরপরই থানার অফিসার ইনচার্জকে মুঠোফোনে জানিয়ে নিরাপত্তার জন্য বলা হয়।

ওই সময় থানার থেকে পুলিশ এসে হামলাকারীদের খুলিয়ান থেকে সরিয়ে দিয়ে চলে যাওয়ার পরপরই মামলাকারীরা বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাড়ীর লোকজনের ওপর মারপিটসহ হাসুয়া ও ছোরা কোপাকোপি শুরু করে দেয়।

এ সময় থানার ওসিকে একাধিবার মুফোফোনে ফোন করার পরও তিনি বারংবার ফোন কেটে দিয়েছেন। একইভাবে ওই রাতেই থানায় মামলা দায়েরের পরপরই ওসি ফখরুল ইসলাম তার অফিস কক্ষে ইউপি চেয়ারম্যান উপাধ্যক্ষ শাহ মো. আব্দুল কুদ্দুসের সামনে মাসুদ নামের এক আসামীকে গ্রেপ্তার করার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মাসুদের হার্টের সমস্যা রয়েছে, তাই তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এরপর জানা গেছে ওসি রহস্যজনক কারণে আটক মাসুদকে ছেড়ে দিয়েছেন।

বাদী পক্ষের অভিযোগ অস্বীকার করে এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, দমারপিট ঘটনার সাথে জড়িত কাউকেই গত সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করা যায়নি, তবে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন

×