মেজর সিনহা হত্যা মামলার চার আসামিকে তোলা হয় আদালতে

প্রকাশিত: 09/09/2020

কক্সবাজার প্রতিনিধি

মেজর সিনহা হত্যা মামলার চার আসামিকে তোলা হয় আদালতে

কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে আসামিদের শারীরিক পরীক্ষা করে নিয়ে আসেন আদালতে অনেকক্ষণ ধরে আদালতের গুরুত্বপূর্ণ কাজ কর্ম চলেন। সেনাবাহিনীর মেজর (অব:) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি পুলিশের ৪ সদস্যকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড শেষে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি নিচ্ছে কক্সবাজার আদালতে।

বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে র‌্যাবের একটি দল কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে তাদের হাজির করা হয়। আদালতের খাস কামরায় তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শুরু হয় বেলা সাড়ে ১১টা থেকে। সিনহার হত্যা মামলার ৪ আসামিরা হলেন- পুলিশের উপ-পরিদর্শক লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন।

র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন, গত ২৪ আগস্ট সিনহা হত্যা মামলার আসামি পুলিশের চার সদস্যকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দ্বিতীয় দফায় চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।

আদালতের আদেশ পেয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর পুলিশের ৪ সদস্যদের দ্বিতীয়দফা রিমান্ডের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে র‌্যাব।

আজ চারদিনের রিমান্ড শেষে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে আদালতে আনা হয়েছে। এর পর আদালত তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করছেন।

এর আগে উক্ত মামলায় বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত ও এসআই নন্দ দুলালকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের মধ্যে প্রদীপকে চার দফায় ১৫ দিন এবং লিয়াকত ও নন্দ দুলাল রক্ষিতকে তিন দফায় ১৪ দিন করে রিমান্ডে নেয়া হয়।

লিয়াকত ও নন্দ দুলাল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এদিকে ওসি প্রদীপ রাজি হননি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে। তারা সবাই এখন কারাগারে রয়েছেন। এপিবিএনের তিন সদস্যসহ এ পর্যন্ত ৮ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে নিহত হন সেনাবাহিনীর মেজর (অব:) সিনহা মো. রাশেদ খান। পরে তার বড় বোনের করা মামলায় ৭ পুলিশ সদস্য, তিন এপিবিএন পুলিশের সদস্য ও পুলিশের মামলার তিন সাক্ষীসহ মোট ১৩ জন আসামি এই মামলায় আটক রয়েছে।

আরও পড়ুন

×