প্রকাশিত: 02/11/2020
দুই নবজাতকের চিকিৎসার জন্য তিনটি হাসপাতালে গিয়েছিলেন বাবা। কিন্তু কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা মেলেনি। মারা যায় দুই প্রিয় সন্তান। শেষ পর্যন্ত ন্যায়বিচার পেতে সন্তানের লাশ নিয়ে হাইকোর্টে যান বাবা।
সোমবার সকালে জমজ দুই সন্তানের লাশ নিয়ে বাবা আবুল কালাম আজাদ আদালত চত্বরে যান। এরপর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়টি নজরে আনলে আদালত রুল জারি করেন।
রুলে চিকিৎসা অবহেলায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছেন। এছাড়া তিন হাসপাতালের তিন পরিচালকের কাছে কেন দুই শিশুকে ভর্তি করা হয়নি তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
হাসপাতালগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও মুগদা ইসলামিয়া হাসপাতাল।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের এমএলএসএস আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী সায়েরা খাতুনকে মুগদা হাসপাতাল নেওয়ার পথে সিএনজির মধ্যে দুটি সন্তান প্রসব করেন।
এ সময় তারা প্রসূতিকে ইসলামিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা না থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নবজাতকদের শ্যামলীর ঢাকা শিশু হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে।
এরপর নবজাতকদের নিয়ে শ্যামলীতে ঢাকা শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বেডে ভর্তি করতে প্রতি বাচ্চার জন্য ৫ হাজার করে টাকা চাওয়া হয়। টাকা না থাকায় বাচ্চা দুটিকে ভর্তি করা হয়নি।
এ সময় আবুল কালাম আজাদ হাইকোর্টের এক বিচারপতির সঙ্গে কথা বলেন। বিচারপতি নবজাতকদের বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে নিয়ে যেতে বলেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে নিয়ে আসেন এবং পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন।
কিন্তু পরিচালকের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা তাকে জানান পরিচালক মিটিংয়ে আছেন। দীর্ঘ সময় পর জানানো হয় পরিচালক বাসায় চলে গেছেন। এরপর পরিচালকের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা একজন চিকিৎসককে দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে নবজাতকদের দেখান। তখন সেই চিকিৎসক জানান নবজাতক আর বেঁচে নেই।