সাগর -রুনি দম্পতির হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে সিডিসহ হাইকোর্টে তলব 

প্রকাশিত: 20/10/2019

নিজস্ব প্রতিবেদন

সাগর -রুনি দম্পতির হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে সিডিসহ হাইকোর্টে তলব 

সাগর -রুনি দম্পতির হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে সিডিসহ হাইকোর্টে তলব 

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট । আগামী ৬ নভেম্বর  মামলার সিডিসহ তদন্ত কর্মকর্তাকে র‌্যাবের এএসপি মহিউদ্দিনকে হাজির হতে বলেছেন । ঘটনার সন্দেহ ভাজন হিসেবে অভিযোগ ওঠা তানভীর রহমানের নামের এক ব্যক্তির মামলার বাতিল করার আবেদনের শুনানিতে এ আদেশ দেন । 
এমনকি এটাও বলেন যে গত ৮ বছর ধরে তদন্ত শেষ হয়নি । তদন্তকি অনন্ত কাল ধরে চলবে ? 
সাগর-রুনির হত্যা মামলার গ্রেপ্তারের ২৬ মাস পর জামিনে কারাগার থেকে বের হন তানভীর রহমনান । তানভীর রহমানের বাড়ি ফরিদপুর বোয়ালমারিতে । তিনি রাজধানীর উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরে থাকেন । তানভীর রহমান ২০১২ সালের ১ অক্টোবর তাঁর কর্মস্থল স্কলাসটিকা স্কুলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় উত্তরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তাঁর পরিবার। এরপর ৯ অক্টোবর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে জানান, সাগর-রুনি হত্যা মামলায় তানভীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে উচ্চ আদালত থেকে তিনি জামিন পান। এরই ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে তিনি মুক্তি পান।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাড়িতে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। সাগর তখন মাছরাঙা টিভিতে আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের সময় বাসায় ছিল তাঁদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ। হত্যাকাণ্ডে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

সব মিলিয়ে এ মামলায় মোট আটজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মো. সাইদ, মিন্টু, কামরুল হাসান ওরফে অরুণ, সাগর-রুনির ভাড়া বাসার নিরাপত্তা প্রহরী এনামুল, পলাশ রুদ্র পাল এবং নিহত দম্পতির বন্ধু তানভীর রহমান। তাঁদের মধ্যে প্রথম পাঁচজনই মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের চিকিৎসক নারায়ণ চন্দ্র হত্যার ঘটনায় র‍্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে গ্রেপ্তার হন। প্রথম পাঁচজন ও নিরাপত্তারক্ষী এনামুল এখনো এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাবাস করছেন।

আরও পড়ুন

×