তিন বছরে ও শেষ হয়নি মিতু হত্যার তদন্ত 

প্রকাশিত: 26/10/2019

নিজস্ব প্রতিবেদন

তিন বছরে ও শেষ হয়নি মিতু হত্যার তদন্ত 

তিন বছরে ও শেষ হয়নি মিতু হত্যার তদন্ত 

সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বারবার আশ্বাস দেওয়ার পরও গত তিন বছরে মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যার তদন্ত পুলিশ শেষ করতে পারেনি এখনো পর্যন্ত। কখনো পুলিশ বলছে তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে, আবার কখনো বলেছে ওপরের নির্দেশ পেলেই আদালতে তদন্ত দেওয়া হবে। মাহমুদার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার।

দেশজুড়ে আলোড়ন তোলা এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এখনো শেষ না হওয়ায় হতাশ মাহমুদার বাবা মোশাররফ হোসেন। তিনি নিজেও পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত পরিদর্শক। গতকাল শুক্রবার তিনি আক্ষেপ করে জানান, নুসরাতের (ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান) মা –বাবা অন্তত এতটুকু সান্ত্বনা পাবে, তাঁদের মেয়েকে খুনের ঘটনায় আদালত রায় ঘোষণা করে দিয়েছেন। আর মাহমুদাকে খুনের ঘটনায় বিচার দূরে থাক, তদন্তই শেষ হয়নি এখনো। এ অবস্থায় মাহমুদা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার পরিবর্তন চান তিনি। তদন্ত কর্মকর্তাকে পরিবর্তন এবং নতুন করে এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে দিতে কিছুদিনের মধে৵ আদালতে আবেদন করবেন বলে জানান মাহমুদার বাবা।


২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে চট্টগ্রাম শহরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানমকে।মাহমুদার বাবা মোশাররফ হোসেন বলেন নুসরাতকে পুড়িয়ে মারার মামলায় যদি ৬১ কার্যদিবসে আসামিদের ফাঁসির আদেশ দেওয়া সম্ভব হয়, তাহলে তাঁর মেয়েকে হত্যা করার মামলায় কেন তা হবে না। অবসরপ্রাপ্ত এই  পুলিশ কর্মকর্তার অভিযোগ, ‘বাবুলকে বাঁচাতে পুলিশ অবহেলা  করছে।’মৃত্যুর আগে মেয়ে হত্যার বিচার দেখে যেতে যান তিনি। এই মামলার তদন্ত সঠিকভাবে না হলে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে বলেও মনে করেন তিনি।

মাহমুদা হত্যাকাণ্ডের পর বাবুল আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় তিনজনকে আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। বাবুল তখন চট্টগ্রাম থেকে বদলি হয়ে ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে এসপি পদে সংযুক্ত ছিলেন। মাহমুদা হত্যাকাণ্ডের মোড় ঘুরতে শুরু করে ২০১৬ সালের ২৪ জুন ডিবি কার্যালয়ে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের পর। এ সময় হত্যাকাণ্ডে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বাবুলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হলো।

মাহমুদা হত্যাকাণ্ডের তিন সপ্তাহ পর মো. ওয়াসিম ও মো. আনোয়ার নামের দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশ। তাঁরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাঁরা বলেন, কামরুল শিকদার ওরফে মুছার নেতৃত্বে হত্যাকাণ্ডে তাঁরা সাত-আটজন অংশ নেন। গোয়েন্দা কর্মকর্তা হিসেবে বাবুল চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালনের সময় মুছা তাঁর ঘনিষ্ঠ সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। পরে মুছার সন্ধান চেয়ে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ।


 

আরও পড়ুন

×