প্রকাশিত: 20/02/2021
রাজধানীর পরিত্যক্ত জায়গায় রাস্তাঘাট, ঝোপঝাড় ডাষ্টবিনসহ যত্রতত্র মিলছে নবজাতক শিশু। তবে এ সবের কোন সূত্র না থাকায় একের পর এক ঘটনা ঘটে চলছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বলেন জাতীয়ভাবে ডিএনএ ব্যাংক করা গেলে এ ঘটনা উদঘাট করা সম্ভব হবে।
আইনজীবী ও সমাজবিজ্ঞানীদের মতে যে সংস্থাগুলো শিশুদের লালনপালন করে কথিত মা বাবার উচিত এ শিশুদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে না দিয়ে সরাসরি সংস্থালোর সঙ্গে যোগাযোগা করা। সম্প্রতি কুড়িল সড়কে নেমে আসে বর্বরতার রাত। কে বা কারা কাপড়ের ব্যাগের ভেতরে রেখে যায় ফুটফুটে এক নবজাত ছেলে শিশু।
ঐ দিন সড়কে কর্মরত ছিলেন ট্রাফিক সাজেন্ট সমরেশ মন্ডল। তিনি বলেন, আমি যখন ব্যাগের ভিতরে নবজাতক শিশুর কান্না শুনতে পাই তখন শরীরটা ঝাঁকি মেরে উঠে। তখন বার বার মনে পড়ে শিশুটি কখন খেয়েছে তাকে আগে হাসপাতালে নিতে হবে বাঁচার জন্য। একই ভাবে শাহবাগ ফুটপাতে বাস কাউন্টারের ভেতর থেকে পাওয়া যায় নবজাতক শিশু।
এর পর ঢাকা মেডিকেলে কুকুরের মুখ থেকে উদ্ধার হয় নবজাতক শিশু। তার কান্নায় ছুটে আসে ক্যান্টিনের এক কর্মচারী। এভাবে কেবল গত অক্টোবর মাসে উদ্ধার করা হয় চার নবজাত শিশু। এরমধ্যে দুটি জীবিত আর দুটি মৃত।
গোয়েন্দা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, যদি দেশের সকল নাগরিকের ডিএনএ ব্যাংক তৈরী করা সম্ভব হয় তবে ফেলে যাওয়া শিশুটি কার তা সহজে জানা যাবে।