ভারতের পশ্চিমবঙ্গ লকডাউন থাকায় টানা ১৩ দিন বেনাপোল বন্দরে আমদানি রফতানি বন্ধ

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ লকডাউন থাকায় টানা ১৩ দিন বেনাপোল বন্দরে আমদানি রফতানি বন্ধ

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য লকডাউন ও দেশে সাধারন ছুটি থাকায় টানা ১৩ দিন বেনাপোল বন্দরে আমদানি রফতানি বন্ধ।

করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য লকডাউন ও বাংলাদেশ সরকারের টানা ১০ দিন সাধারন ছুটি ঘোষনা করায় দেশের সর্ববৃহৎ স্থল বন্দর বেনাপোল টানা ১৩ দিন ছুটির কবলে পড়েছে।

গত রবিবার (২২ মার্চ) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এক জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়, ২৩শে মার্চ সকাল থেকে ২৭ শে মার্চ বিকাল ৫টা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ লকডাউন করা হলো।

লকডাউনের সময়ে কলকাতাসহ অন্য শহরগুলোতে আপৎকালীন পরিষেবা বাদ দিয়ে বাকি সবকিছু বন্ধ থাকবে। অপর দিকে গতকাল বাংলাদেশ সরকার ২৬শে মার্চ থেকে ৪ঠা এপ্রিল পর্যন্ত টানা ১০ দিন দেশে সাধারন ছুটি ঘোষনা করেছে।

ভারতের পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, রাজ্য সরকার কলকাতাসহ আশপাশের শহরগুলোতে ২৩-২৭ মার্চ লকডাউন ঘোষণা করায় সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের সঙ্গে আমদানি- রফতানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে।

২৮শে মার্চ সকাল থেকে দু’দেশের মধ্যে পুনারায় আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সচল হবে বলে তিনি জানান।বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, করোনা ভাইরাসের কারনে সরকার দেশে টানা ১০ দিন সাধারন ছুটি ঘোষনা করায় প্রেটাপোল- বেনাপোল বন্দর টানা ১৩ দিন বন্ধ থাকার কারনে দু’দেশের ব্যবসায়ীদের শতশত কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবে।

বন্দর এলাকার দু’পাশে পন্যবাহী শতশত ট্রাক আটকা থাকবে।বন্দর এলাকার দু’পাশে তৈরী হবে ভয়াবহ যানজট। এসময় সরকারের প্রায় ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি হবে।

এসময় বেনাপোল বন্দর থেকে মালামাল খালাশ না হওয়ার কারনে এদেশের ব্যবসায়ীরা যেমন আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।তেমনি আমদানিকৃত পন্য বন্দরে আটকে থাকায় পন্যের গুনগত মান নষ্ট হবে।

বেনাপোল কাস্টসের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা জানান,সরকারি নির্দেশে দেশে সাধারন ছুটি থাকায় বেনাপোল কাস্টমস ও বন্দরের কার্যক্রম ২৬শে মার্চ থেকে আগামী মাসের ৪ঠা এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

আরও পড়ুন

×