প্রকাশিত: 09/11/2020
তুরস্কের অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রিপেস তাইয়েপ এরদোগানের জামাতা বেরাট আলবেরাক। পদত্যাগের কারণ সম্পর্কে আলবেরাক জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যগত কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন।
ইনস্টাগ্রামে তিনি বলেছেন, 'প্রায় পাঁচ বছর ধরে আমি একাধিক মন্ত্রণালয় সামলেছি। স্বাস্থ্যের কারণে আমি আর মন্ত্রী থাকতে চাই না। আমি পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে চাই। এতদিন কাজের জন্য পরিবারকে অবহেলা করেছি।'’ আলবেরাক এরদোগানের বড় মেয়ে এরসাকে বিয়ে করেছেন এবং তাদের সংসারে চার সন্তান রয়েছে।আলবেরাক স্বাস্থ্যগত বিষয়টিকে পদত্যাগের কারণ বললেও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে।
আলবেরাকের একদিন আগেই তুরস্কের সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রধানকে বরখাস্ত করেছেন এরদোগান। তার স্থলে সাবেক অর্থমন্ত্রী আগবালকে সেই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তুরস্কের অর্থনীতির অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। ডলারের তুলনায় দেশের মুদ্রা লিরার দাম কমে গেছে। মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে গেছে। জিনিসের দামও তাই বেড়েছে।
আলবেরাক অতীতে একাধিকবার বলেছেন, বিদেশি শক্তির জন্যই তুরস্কের অর্থনীতির অবস্থা খারাপ হয়েছে। সব মিলিয়ে চাপে ছিলেন আলবেরাক। অর্থনীতির টালামাটাল অবস্থার জন্য আলবেরাককে দায়ী করছেন কেউ কেউ।
করোনাভাইরাসের বড় ধাক্কা লেগেছে তুরস্কের অর্থনীতিতে। মুদ্রার মান কমে গেছে। নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী। এমতাবস্থায় অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
দেশটির পরিবহন উপমন্ত্রী ওমর ফাতি সায়ান টুইটারে বলেন, আমি আশা করব আলবেরাকের পদত্যাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। আমাদের দেশ, অর্থনীতি ও জনগণের কল্যাণের জন্য তার দরকার আছে।
এরদোগানের দল একেপির নেতা মেহমুদ মুসা বলেন, দেশের অর্থনীতির জন্য আলবেরাকের সিদ্ধান্তগুলো খুবই ফলপ্রসূ। আমি আশা করব এরদোগান তার পদত্যাগ গ্রহণ করবেন না।