প্রকাশিত: 06/06/2020
দেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এখন নতুন পদ্ধতিতে শতভাগ লকডাউনে যাচ্ছে সরকার।আগামীকাল রবিবার রাজধানী ঢাকায় এই লকডাউন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে দেশের অন্যান্য স্থানে লকডাউন কার্যকর হবে এলাকাভিত্তিক।বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে রাজধানীর যেসব এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে, সেসব এলাকা আজ-কালকের মধ্যেই লকডাউন করা হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর সূত্র জানায়, প্রথম দফায় সরকার রাজধানী ঢাকাকে উচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। ঢাকার যে যে এলাকায় বেশি সংক্রমণ ঘটেছে এবং বেশি রোগী আক্রান্ত সেসব এলাকা চিহ্নিত করার কাজ প্রায় শেষ করা হয়েছে। এখন বিশেষজ্ঞদের অভিমতের ভিত্তিতে ওই এলাকাগুলো লকডাউন করে দেওয়া হবে।
এবারের লকডাউনে সর্বোচ্চ কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। লকডাউন করা ‘রেড জোন’ এর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত কাউকেই ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হবে না।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশেষজ্ঞ কমিটি বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করে ঢাকাসহ সারা দেশের বড় বড় শহর থেকে শুরু করে একেবারে গ্রাম পর্যন্ত প্রায় সব এলাকায় প্রতিদিন শনাক্ত হওয়া আক্রান্তদের মোবাইল নম্বর চিহ্নিত করে ওইসব এলাকার ম্যাপ তৈরি করছেন। রাজধানীতে এ কাজ প্রায় শেষ। দেশের অন্যান্য এলাকায় এখনো চিহ্নিত করার কাজ চলছে।
স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান বলেন, আশা করছি, আগামীকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন কার্যকর করার ঘোষণা আসবে।
যেসব এলাকায় রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি এবং রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত হবে সেসব এলাকাকে লকডাউন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মন্ত্রিপরিষদ সচিব গত ১ জুন সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও বেশ কয়েকজন সচিবকে নিয়ে জরুরি সভা করেন।
সভায় উপস্থিত প্রায় প্রত্যেকেই নতুন করে লকডাউনের পক্ষে মত দেন। এই সভার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে সারা দেশকে তিনটি জোনে ভাগ করে যেসব এলাকায় সংক্রমণ বেশি সেগুলোতে এলাকাভিত্তিক লকডাউন করা হবে।