‘‘কারিগরি শিক্ষা ও মানব সত্ত¦র উন্নয়ন’’

প্রকাশিত: 03/10/2019

মোঃ জামাল হোসেন

‘‘কারিগরি শিক্ষা ও মানব সত্ত¦র উন্নয়ন’’

মানুষের মৌলিক চাহিদা ৫ টি- ১. খাদ্য ২. বস্ত্র  ৩. বাসস্থান ৪. শিক্ষা ও ৫. টিকিৎসা। এই ৫টি মৌলিক জিনিস এ কে অপরের সাথে অতপ্রোতভাবে জড়িত। ৫ টির যে কোন একটি অভাব হলে সমাজ পবিার রাষ্ট্রে বিশৃঙখলা দেখা দেয়। পাঁচটি মৌলিক চাহিদার মধ্যে শিক্ষা অন্যতম। শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতি লাভ করতে পারেনা। যার কারনে শিক্ষাকে আলোর সাথে তুলনা করা হয়। আলো যেমন অন্ধকার দূর করে শিক্ষা তেমনি মানুষের অজ্ঞানতা দূর  করে মনুষ্যত্ব সৃষ্টি করে যা জাগ্রত করে। প্রথিবীতে যত বড় বড় বিজ্ঞানী সাহিত্যিক সাংবাদিক রাজনীতিবিদ চিকিৎসক, হয়েছেন সবাই সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজেদের জীবন গড়েছেন এবং নিজেকে সু প্রতিষ্ঠিত করেছেন। শিক্ষার জন্য যুগে যুগে অনেক মনীষী আন্দোলন করেছেন। যেমন বেগম রোকেয়া, কাজী নজরুল ইসলাম, বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রাজা রামমোহন রায়, হাজী মুহাম্মদ মুহসীন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজবিুর রহমান এবং তার সুযোগ্য কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনা প্রভৃতি আর ও অনেকে। কারণ আমারদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন যে, শিক্ষা ছাড়া দেশ জাতি উন্নতি করা সম্ভব নয়। দেশের মানুষের সুশিক্ষার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। এবং সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন। দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন করা দরকার। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে কারিগরি  শিক্ষার বিকল্প নাই। দেশে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা খুব একটা ফল প্রসূ হচ্ছেনা যা কারনে দেশে উচ্চ শিক্ষিতের হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। দেশের মানুষ শিক্ষিত হয়ে সম্পদে পরিনত বা হয়ে দেশ জাতির কাছে শিক্ষিত তরন তরুনী বোঝাতে পরিনত হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন করা দরকার। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বোত্তম উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। তিনি দেশের   প্রতিটি স্কুল, কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ে কারিগরি শিক্ষার উপর যথেষ্ট ভূমিকা পালন করছেন এবং দেশে প্রতিটি নাগরিক কে শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য গুরুত্বারোপ করেছেন। দেশের মানুষ কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হলে উচ্চ শিক্ষিত যুব সমাজ বেকার থাকবেনা। কারিগরি শিক্ষার শিক্ষিত হলে সরকারি চাকুরীর পেছনে কেউ দৌড়াদৌড়ি করবেনা। এ শিক্ষায় শিক্ষিত হলে নিজে উদ্যাক্তা হতে পারবে। পৃথিবীর প্রতিটি দেশের কারিগরি শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করছে করান প্রতিযোগিতার যুগে টিকে থাকতে হলে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নাই। যে দেশ কারিগরি শিক্ষার যত উন্নত যে দেশ বা জাতি ততবেশি টেকশই ও উন্নত। দেশের মানুষকে  কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হলে নিচের পদক্ষেপ গুলো নেওয়া যেতে পারে। 


১.    কাগিরি শিক্ষার জন্য পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে
২.    দেশের জনগণ কে উপযুক্ত প্রশিক্ষণনের ব্যবস্থা করতে হবে 
৩.    কারিগরি শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বা আকৃষ্ট করার জন্য শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি গ্রহন করতে হবে। 
৪.    দেশের স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে স্বল্প মেয়াদী দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। 
৫.    কারিগরি শিক্ষার অবকাঠামো উন্নতি করতে হবে। 
৬.    উন্নত দেশ গঠনে কারিগরি শিক্ষার ব্যাপক প্রচার ও প্রসার করতে হবে। 
৭.    কারিগরি শিক্ষায় দেশী দিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে হবে। 
৮.    দেশের সর্বত্র কারিগরি শিক্ষার বাস্তবায়ন করা হবে। 

আরও পড়ুন

×