প্রকাশিত: 14/10/2019
ব্রিটিশ ভারতের প্রায় ৬০০টি দেশীয় রাজ্যের অন্যতম ছিল জম্মু ও কাশ্মীর। ১৮ জুলাই ১৯৪৭ Indian Independence Act অপঃ নামে ব্রিটিশ-ভারত বিভক্তির যে পরিকল্পনা তৈরি হয়েছিল তাতে বলা হয়েছিল,
ভারতের দেশীয় রাজ্যের রাজারা তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ভারত বা পাকিস্তানে যোগ দিতে পারবেন। আবার তারা যদি চান স্বাধীন থেকেও নিজেদের শাসনকাজ পরিচালনা করতে পারবেন। বেশিরভাগ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ
দেশীয় রাজ্যগুলো পাকিস্তানে ও হিন্দু দেশীয় রাজ্যগুলো ভারতে যোগ দেয়। কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীর, হায়দ্রাবাদ, গোয়া, সিকিমসহ কিছু দেশীয় রাজ্যের ক্ষেত্রে। এর মধ্যে জম্মু ও
কাশ্মীরের সর্বশেষ মহারাজা হরি সিং চেয়েছিলেন ভারতের সাথে থাকতে। কিন্তু কাশ্মীরের জনসংখ্যার ৮৫% ছিল মুসলিম। তাই জনগণের বেশির ভাগই চেয়েছিল পাকিস্তানের সাথে যোগ দিতে। জুন-অক্টোবর
১৯৪৭ কাশ্মীরের পুঞ্চ এলাকায় মুসলিমরা বিদ্রোহের পথ বেছে নিলে মহারাজা হরি সিং মুসলিমদের ওপর অত্যাচার ও গণহত্যা শুরু করেন এবং তাদের তাড়িয়ে দিতে থাকেন।
এমন পরিস্থিতিতে ২২ অক্টোবর ১৯৪৭ পাকিস্তানি পশতুন আদিবাসীরা কাশ্মীর আক্রমণ করে। আত্মরক্ষার্থে মহারাজা হরি সিং ভারতের সাহায্য কামনা করেন এবং ভারতে সংযুক্তকরণ চুক্তি (Instrument of Accession) স্বাক্ষর করেন।
২৬ অক্টোবর ১৯৪৭ স্বাক্ষরিত ঐ চুক্তি অনুযায়ী, হরি সিং ভারতের সাথে যোগ দেন এবং ভারতীয় সৈন্যরা কাশ্মীরে প্রবেশ করেন। ফলস্বরূপ শুরু হয় প্রথম ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, যা দুই বছরব্যাপী স্থায়ী ছিল।
এরপর নানা ঘটনা পরিক্রমায় ২৬ জানুয়ারি ১৯৫৭ ভারতের অংশ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি পায় জম্মু-কাশ্মীর।