“স্বপ্নের মেট্রোরেল ও ঢাকা সিটি’

প্রকাশিত: 03/10/2019

মোঃ জামাল হোসেন

“স্বপ্নের মেট্রোরেল ও ঢাকা সিটি’

পৃথিবীর প্রতিটি দেশে শহর গুলোকে সুসজ্জিত করা জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি গ্রহন করে থাকে। বাংলাদেশ ও তার ব্যতীক্রম নয়। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা কে আধুনিক ও সুসজ্জিত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দেশ ও বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য শহরের মোরগুলোতে পানির ফোয়ারা, শাপলা, দোয়েল চত্বর স্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় যাদুঘর শাহবাগে স্থাপন করা হয়েছে। দেশের একমাত্র মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর সেগুন বাগিচার স্থাপন করা হয়েছে। ছুটির দিন গুলোতে মানুষ যাতে ঘুরাঘুরি করতে পারে তার জন্য  কতকগুলো পার্ক স্থাপন করা হয়েছে। পার্কগুলো মধ্যে রমনা পার্ক, বোটানিক্যাল গার্ডেন, বলধা গার্ডেন, চিড়িয়াখান, রোজিনা গার্ডেন প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। বিগত সরকারের পরিকল্পনার অভাবে ঢাকা সিটিতে বসবাস ও চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থোকে নানা কাজে ঢাকা সিটিতে পাড় জমায় যার কারণে বাসে লঞ্চে ট্রেন গুলোতে প্রচন্ড ভীড় লক্ষ্য করা যায়। জনসংখ্যর চাপে গাড়িঘোড়া বৃদ্ধির পাওয়ার করণে রাস্তাঘাটে যানযট দুভোগের সৃষ্টি হয় যার ফলে মানুষ তার স্থীর কর্মস্থালে ঠিকমত পৌছতে পারেনা। যানযটে পড়ে প্রতিদিন হাজার হাজার কোটি টাকার  অর্থ ও সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। এ থেকে পরিত্রান পেতে আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে যথেষ্ট উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। তার মধ্যে ঢাকা সিটিতে মেট্রোরেল স্থাপন ও রক্ষনা বেক্ষনের কার্যকরী পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন। স্বপ্নের মেট্রোরেলের নিমার্ন করতে মোটখরচ হবে $ ২.৪ বিলিয়ন। মেট্রোরেলের মোট দৈর্ঘ্য হবে ২০.১ কি.মি. এবং লেন হবে ৬টি। জাপানরে ইন্টারন্যাশনাল কো-অপেরেশন এজেন্সি কম্পোনির সাথে বাংলাদেশ সরকার মেট্রোরেল নিমার্ণ সংক্রান্ত চুক্তি করেন। এই রেলের মোট স্টেশন হবে ৬৪ এবং অপেরেটর নাম হবে ঢাকা মেস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেড। মেট্রোরেলের প্রতিটি ট্রেনের যাত্রীর ধারন ক্ষমতা হবে ১৮০০ এবং দিনে-রাতে মোট ৫৬ টি ট্রেন যাতায়াত করবে। মোট ৬০,০০০ জন যাত্রী প্রতি ঘন্টায় যাতায়াত করতে পারবে। ট্রেনের গতিবেগ হবে ১০০ কি.মি/ ঘন্টা মেট্রোরেল নির্মান শেষ হবে ২০২১  সালে। মেট্রোরেলের যাতায়াতের পথ হবে উত্তরা নর্থ - উত্তরা সেন্টার, উত্তরা সাউথ- পল্লবী- মিপুর-১১, মিরপুর- কাজীপাড়া শেওড়াপাড়া- আগারগাও- বিজয় সরনী- ফার্মগেট- কাওরান বাজার- শাহবাগ- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-বাংলাদেশ সচিবালয় - মতিঝিল। 


এই রেল নির্মানের ফলে ঢাকা সিটিতে যানযট অনেকাংশে কমে যাবে। মানুষের জীবন যাত্রারমান বৃদ্ধিপাবে। কম সময়ে মানুষ তার নিজ নিজ কর্মস্থলে পৌছাতে পারবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চাকা গতিশীল ও ত্বরান্নিত হবে। শেখ হাসিনা নিজ হাতে মেট্রোরেল নির্মাণের ফলে দেশে বিদেশে সকলের কাছে প্রশংসা অর্জন করেছেন। তাঁর কর্মঠ উদ্দীপনার ফলে তিনি অনেক উপাধি পেয়েছে। হয়ত তিনি ভবিষ্যতে নবেল পুরষ্কার পেতে পারেন। মেট্রোরেল নির্মানকালে মানুষের সাময়িক কষ্ট হলেও তার থেকে দীর্ঘ মেয়াদী সুযোগ সুবিধা ভোগ করবে তাতে কোন সন্দেহ নাই। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে মেট্রোরেল যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। 

আরও পড়ুন

×