প্রকাশিত: 15/10/2019
শিক্ষক শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। দেশের মানুষকে শিক্ষিত করার জন্য সরকার বিভিন্ন ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। বিভিন্ন ধরণের স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি স্কুল স্থাপন করেছন।
শিক্ষিত জাতি গড়ার লক্ষ্যে সরকার তাদেরকে বিভিন্ন ধরণের সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসছে। কিন্তু সে সব স্কুল, কলেজ, কতটুকু নিয়মমাফিক পরচালনা করছে, কতটুকু সঠিকমাত্রায় শিক্ষাদানে নিয়োজিত তা নিয়ে সংশয় আছে।
আমি বাংলাদেশের কয়েকটা প্রাইভেট স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত ছিলাম তার মধ্যে ১, তানযিমুল উম্মাহ মাদরাসা রাজশাহী শাখা,২. শাহীন স্কুল &কলেজ উত্তরা শাখা ৩. ডিয়াবাড়ী মডেল হাই স্কুল অন্যতম।
এ সব স্কুল কলেজ মাদরাসা ছাত্র-ছাত্রিদের আচার- আচরণ অতি রুষ্ট, করকশ, উগ্র মেজাজ তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তার থেকে বেশি খারাপ আচরণ করে শিক্ষক -শিক্ষিকার সাথে স্কুল, কলেজ মাদরাসার পরিচালকেরা। অশালীন কথা দিয়ে আঘাত করে থাকেন।
তারা তাদের সঠিক বেতন দেয়না, ২-৩ মাস বাকী রাখেন। অনেককে বেতন না দিয়ে অকারণে শিক্ষক ছাটাই করে তাড়িয়ে দেন। ডিয়াবাড়ী মডেল হাই স্কুল পরচালক আরিফুর রহমান ৮০০০+৩৫০০*২+৩৫০০*৩=৩২৫০০/- বেতন না দিয়ে ছাটাই করেছেন।
আমি সরকারকে অনুরোধ করব যে তারা যেন সঠিকনিয়মে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা পরিচালনা করেন। প্রভিডেন্ট ফান্ড নামে তারা যে টাকা কাটে তা পরে শিক্ষক ছাটাই করে কিন্তু পাওনা পরিশোধ করেনা। শিক্ষক- শিক্ষিকাদের সার্বিক উন্নতি র জন্য নিম্নোক্ত পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে:
১. এমপিও স্টাইলে বেতন প্রদান করতে হবে।
২. সরকারের প্রচলিত ঈদ বোনাস, পহেলা বৈশাখী ভাতা প্রদান করতে হবে।
৩. প্রতি বছর শিক্ষা ভ্রমণ আয়োজন করতে হবে।
৪. হুট করে শিক্ষক ছাটাই বন্ধ করতে হবে।
৫. অবসর ভাতা ও বিনোদন ভাতা চালু করতে হবে।
৬. শিক্ষকদের সাথে ভাল আচরণ একান্ত কাম্য।
৭. মাতৃত্বকালীন ছুটিশেষে পুনরায় পদে যোগদান নিশ্চিত করতে হবে।
৮. নৈমিত্তিক ও সংরক্ষিত ছুটি নিলে বেতন কাটা বন্ধ করতে হবে।
৯. মেডিকেল ফি প্রদান করতে হবে।
১০. সর্বপুরি শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।