জবিতে সর্বজনীন উৎসব হিসেবে পালিত হবে দুর্গাপূজা- উপাচার্য

জবিতে সর্বজনীন উৎসব হিসেবে পালিত হবে দুর্গাপূজা- উপাচার্য

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) প্রথম বারের মতো উদযাপিত হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় মহোৎসব 'দুর্গাপূজা'। এ ব্যাপারে অধ্যাপক ড.মীজানুর রহমান বলেছেন, ধর্মীয় কারণ নয় বরং উৎসব হিসেবেই ক্যাম্পাসে পালিত হবে দুর্গাপূজা। অন্যান্য সর্বজনীন উৎসবের মতোই দূর্গাপূজাও উদযাপিত হবে। 

শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রথম বারের মতো পূজা আয়োজন করার বিষয়ে জানতে চাইলে এসব কথা বলেন উপাচার্য। তিনি আরো বলেন, এই পূজার আয়োজন কোনো ধর্মীয় ব্যাপার নয়, তবে যার ধর্ম আছে সে পালন করবে।

এটি ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়টিকে উজ্জীবিত করে। এছাড়া এখানে যেসব সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড হচ্ছে বা হবে তা সবই আমাদের নিজস্ব। চারুকলার ছেলে মেয়েরা এটার সাথে জড়িত। মূলত এটি আমাদের সংস্কৃতিরই একটি অংশ। আর আমরা এদিকটিকেই গুরুত্ব দিয়েছি। 

পূজা উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কলা অনুষদের মাঠে সাজানো হয়েছে পূজার মন্ডপ। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে প্রতিমা তৈরির কাজ। চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইয়াজের নেতৃত্বে কাজ করছেন ৯ জন শিক্ষার্থী। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ।

তুলির আঁচড়ে দেবী দুর্গাকে মূর্ত করে তোলার চেষ্টায় ব্যস্ত প্রতিমা শিল্পীরা। ঢাকের বাজনা, শঙ্খধ্বনি আর আরতিতে মুখরিত হওয়ার অপেক্ষায় জবি ক্যাম্পাস। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা সম্পন্ন করতে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন।

আয়োজন নিয়ে জানতে চাইলে পূজা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী সুকুমার চন্দ্র সাহা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পূজার আয়োজনের জন্য সর্বপ্রথম চাঁদা দিয়েছেন একজন মুসলিম শিক্ষক। এটি একটি অসাম্প্রদায়িক উৎসব। আমরা আমাদের সাধ্য মতো চেষ্টা করছি পূজাকে সাফল্য মন্ডিত করার।

যেহেতু এবারই প্রথম বারের মতো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই আয়োজন করা হচ্ছে তাই এটি অন্যান্যদের কাছে রোল মডেল হিসেবে থাকবে। পূজা কমিটির সদস্য ও সহকারী প্রক্টর বিভাস কুমার সরকার বলেন,

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে এবছর প্রথম বারের মতো ক্যাম্পাসে সাড়ম্বরে উদযাপিত হবে সার্বজনীন দুর্গা উৎসব। তাই নিরাপত্তার বিষয়টিও আমরা গুরুত্বের সাথে দেখছি। তবে শান্তিপূর্ণ ভাবেই পালিত হবে এ উৎসব, এমনই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

পূজা আয়োজন নিয়ে জানতে চাইলে পূজা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড.প্রিয়ব্রত পাল বলেন, আমাদের মাননীয় উপাচার্য স্যারের ঐকান্তিক আগ্রহে আয়োজন করতে পেরেছি। এ আয়োজন শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য নয় বরং এটি গোটা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের উৎসব। 

আরও পড়ুন

×