বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন বর্বরোচিত নারি নির্যাতন ও ধর্ষনের ঘটনায় তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি জনাব আওলাদ জান চৌধুরী ও মহাসচিব জনাব মোজাম্মেল হক এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সকল সম্পাদক, সদস্যবৃন্দ রাষ্ট্রের প্রতিটি ঘৃন্য মনোভাবাপন্ন ও জঘন্য বর্বরোচিত অনাকাঙ্ক্ষিত নারি নির্যাতন ও ধর্ষনের ঘটনায় শোকাহত এবং তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

ডে-নাইট নিউজের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন দেশের সকল সংগঠনের শীর্ষ স্থানীয় নেতা ও পদ পাওয়া দলীয় নেতৃবৃন্দদের কাছে এবং সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন যে, প্লিজ  আপনারা দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় জনগণের স্বার্থে বর্তমান সময়ে চলমান একের পর এক জঘন্য বর্বরোচিত অনাকাঙ্ক্ষিত নারি নির্যাতন ও ধর্ষনের মত প্রতিটি ঘটনার চুলচেরা তদন্ত করুন, বিচার করুন এবং এই সব জঘন্য অপরাধ কেন ও কিভাবে সংগঠিত হচ্ছে এবং কারা এইসবের সাথে জড়িত ও মদদ দিচ্ছে এই সব গুরুত্বপূর্ণ দরকারী তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে অবিলম্বে নিকৃষ্টতম অপরাধ বন্ধে কার্যকরি ভূমিকা রাখুন। 

অত্র সংগঠনের সম্মানিত মহাসচিব মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন, বাংলাদেশ যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকারের অধীনে উন্নয়নের মহাসড়কে উঠেছে, দেশের প্রতিটি স্তরে সেক্টরে উন্নয়ন অগ্রগতি চলমান রয়েছে, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হচ্ছে, আন্তর্জাতিক মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে এবং নতুন নতুন অবকাঠামো, যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা, প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে, বাংলাদেশ যখন উন্নত দেশের কাতারে চলমান ঠিক এমন একটি সময়ে আওয়ামীলীগ সরকার দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছে এবং একটি মহল ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সব কিছু নষ্ট করে সরকারের সকল দায়িত্বশীল সেবাগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। 

সহ-সভাপতি-১, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম তারেক খানের মতে, সমসাময়িক কালের অনাকাঙ্ক্ষিত জঘন্য বর্বরোচিত নারি নির্যাতন ও ধর্ষনের মতো ঘটনা গুলো আগেও ঘটেছে এবং অল্পমাত্রায় ঘটে আসছে কিন্তু  বর্তমান সময়ের পরিসংখ্যানের হিসেবে ও ঘটনার প্রকার ও ধরনের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে যে, এটি সামাজিক ভাবে উচ্চ মাত্রায় তীব্রতার রুপ নিচ্ছে। এখনি এই রকম অপরাধ ও অপরাধীর লাগাম টেনে ধরতে না পারলে ও আইনের শাসনের মাধ্যমে সব অপরাধের সঠিক মানসম্পন্ন বিচার করতে না পারলে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের উপর মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস একেবারেই উঠে যাবে। বার বার ঘটমান লজ্জাজনক সামাজিক ব্যধি ও ক্যন্সারের চেয়ে ভয়ংকর রোগ এই জঘন্য বর্বরোচিত নারি নির্যাতন ও ধর্ষন বন্ধ করতেই হবে।
সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিঃ আবদুল্লাহ আল মামুন প্রধান মনে করেন, নারি নির্যাতন ও ধর্ষন একটি জঘন্য বর্বরোচিত অপরাধ। এই অপরাধ বন্ধে সরকারকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে এবং গভীর তদন্ত প্রকৃয়ার মাধ্যমে অপরাধের আসল রহস্য উদঘাটন করতে হবে। এই রকম অপরাধ যেন না ঘটে সেই জন্য সরকারের পাশাপাশি সকল সংগঠন, প্রতিষ্ঠানকে দেশের ও জনগণের স্বার্থে এগিয়ে আসতে হবে। অপরাধীদের দৌরাত্ম বন্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সহ সকল সংগঠন, প্রতিষ্ঠান এবং সমাজের তৃণমূল পর্যায়ে গোয়েন্দা সংস্থা গুলোর কঠিন নজরদারি অব্যাহত রাখতে হবে
অত্র সংগঠনের কার্যকরি সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতা, শেখ আবু মুসা বিজয় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা যেন কোনো ভাবেই অনাকাঙ্ক্ষিত অপরাধের সাথে জড়িত না হন এবং কারো ষড়যন্ত্রের শিকার না হন সেই দিকে সব রকম সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।