এক মন লবণের দামে এক কেজি পেয়াজ পাওয়াটা মুসকিল 

প্রকাশিত: 02/11/2019

নিজস্ব প্রতিবেদন

এক মন লবণের দামে এক কেজি পেয়াজ পাওয়াটা মুসকিল 

এক মন লবণের দামে এক কেজি পেয়াজ পাওয়াটা মুসকিল 
  
কক্সবাজার উপকূলে এক মণ লবণের বিনিময়েও মিলছে না এক কেজি পেঁয়াজ। সংকটের বাহানেই  প্রতিদিনই বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের দাম। গতকাল শুক্রবার বিভিন্ন স্থানে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ১৩৫ টাকায়।

গতকাল সকালে কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া, টেকপাড়া, বড়বাজারে , প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়, মিয়ানমার ও মিসরীয় পেঁয়াজ ১২০ টাকা। মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, চকরিয়া, কক্সবাজার সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে আরও ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দামে।


এদিকে এক মণ লবণ (কালো ও সাদা) বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৫৫ টাকায়। প্রতি মণ লবণে অতিরিক্ত দিতে হয় (পানিতে নষ্ট হয় এমন অভিযোগে) আরও ৫-৭ কেজি লবণ। এই হিসাবে এক মণ লবণ বিক্রির টাকায় এক কেজি পেঁয়াজ মিলছে না বাজারে।

লবণ এবং পেঁয়াজ ছাড়া রান্নাই হয় না। প্রতি কেজি লবণ তিন-চার টাকায় বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে প্যাকেটজাত লবণ কিনতে হয় ৩০-৪০ টাকায়। অন্যদিকে ৪২ টাকার মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজ তো ১৩৫ টাকা। মনে হচ্ছে এসব দেখার যেন কেউ নেই। এক মাসে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে মিয়ানমারের ২১ হাজার টন পেঁয়াজ, তবুও সংকটে ভুগছে দেশের লোক। 

উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দেড় লাখ টনের মতো লবণ পড়ে আছে। লোকসান দিয়েই তাঁরা লবণ বিক্রি করছেন। প্রতি মণ লবণে উৎপাদন খরচ ১৭৫ টাকা। অথচ কালো লবণের দাম প্রতি মণ মাত্র ১২০ টাকা।

বর্তমানে প্রান্তিক চাষিদের কাছে মজুত আছে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৩০০ মেট্রিকটন লবণ। কারখানার মজুত আছে আরও প্রায় ২ লাখ টন।

এদিকে, টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে এক মাস ধরেই মিয়ানমারের পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। টেকনাফ স্থলবন্দরের কাস্টমস সুপার আবছার উদ্দিনের কাছে জানা যায় , গত বৃহস্পতিবার এক দিনেই মিয়ানমার থেকে আমদানি হয়েছে ১ হাজার ৫৪২ মেট্রিকটন পেঁয়াজ। পুরো অক্টোবর মাসে এসেছে ২০ হাজার ৮৪৪ মেট্রিকটন। তারপরও বাজারের পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে। এর কারণ অনুসন্ধান করা দরকার। বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখতে মিয়ানমার থেকে আরও বেশি পেঁয়াজ আমদানিতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন

×