ধরা পড়েননি শেখ আবদুল হাই 

প্রকাশিত: 07/10/2019

নিজেস্ব প্রতিবেদন

ধরা পড়েননি শেখ আবদুল হাই 

বেশ কিছুদিন ধরেই ক্যাসিনো নিয়ে নানা রকম কথা হচ্ছে ।  আর গোপনে গড়ে উঠে ছিলো মতিঝিলে ক্যাসিনো তার মুল ছিলো শেখ আবদুল হাই । আর ক্যাসিনো চালানো সাধারণ মানুষের দারা সম্ভব না । আর এই ক্যাসিনো কোনো সাধারণ মানুষও চালাতেন না । এটা চালাতো বিভিন্ন প্রভাবশালী লোক এবং রাজনৈতিক  লোক ।

আর ক্যাসিনো বলতে জুয়া খেলা আর সেটা বিভিন্ন মানুষ খেলতেন । এবং অধিক টাকা উপার্জন ও করেছেন । আর সেটা আমাদের সামনে এনেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিক্ষুত ভাবে প্রমাণ দিয়েছেন । মতিঝিল এখানে সাধারণ মানুষের টাকা নিয়ে জুয়া খেলার ঘটনা নতুন নই । আরও অনেক আছে । 
যেমন একজনের নাম বলি আমরা সেটা হলো বেসিক ব্যাংক তো চেনাই আছে । আর সেই ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই যার আর একটি নাম বাচ্চু । আর এটা একসময় সরকারি ভাবে অনেক নাম কামিয়ে ছিলেন । সাধারণ জনগণ বিশ্বাস করে ছিলেন । এবং তিনি সেই বিশ্বাসের উপহার খুব ভালো ভাবে দেন । সাধারণ জনগণের আমানতের টাকা প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন ।  আর চেয়ে বড় জুয়া আর কিছু হতে পারে বলে মনে হয় না । আর তার জন্যই ক্যাসিনো মূল মাথা ইসমাইল হোসেন চৌধুরি যার আর একটা নাম সম্রাট আর এই নামের সাথে উঠে এসেছে শেখ আবদুল হাই ও । গত শনিবার আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্যসচিব ও সাংসদ বলেন । প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর  কেন এখন পর্যন্ত সম্রাটকে আটক করা হয় নি কেন ? বেসিক ব্যাংককে বদনাম করেছেন এবং সাধারণ জনগণের বিশ্বাস নিয়ে খেলেছেন তার নাম শেখ আবদুল হাই । এখন পর্যন্ত কোনো বিচার হয়নি দুর্নীতি কমিশন তার বিরুদ্ধে কোনো একশন নেন নি কেনো ? ইসমাইল হেসেন চৌধরী যার আর এক নাম সম্রাট সে ধরা পড়লেন কিন্তু শেখ আবদুল হাই কবে ধরা পড়বেন ? বেশ কিছু দিন আগেও যেটাকে অসম্ভব বলে মনে হয়েছে সেটাকেও সম্ভব করেছেন ,বেশ কয়েক জনকে আটক করেছেন । এবং জেলে আছেন অর্থের সন্ধান ও চলছে। তাহলে আমরা কি বুঝবো এদের চেয়েও কি অধিক শক্তিশালি শেখ আবদুল হাই ?
ক্যাসিনো যখন সামনে আসলো আর তখনি যাদের ধরা হয়েছিলো তখন জানা গেছিলো তাদের মধ্যে কেউ আছেন বিএনপি , আর কেউ অন্য দলের । কিন্তু এখানে দেখা যাচ্ছে আওয়ামী লীগ ও যোগ দিয়েছেন । জি সম্রাট হলো আওয়ামী লীগের নেতা । আর হ্যা আবদুল হাই তো কোনো দলের নেতা ছিলেন না । তিনি আওয়ামী লীগ করতেন । জানা যায় যখন এরশাদ পাওয়ারে ছিলেন তখন কার সময় বাগেরহাট থেকে মোল্লারহাট সংসদ নির্বাচন হয়েছিলেন । তাহলে আমরা শক্তির উৎস হিসেবে কী ধরবো ? নাকি এর উত্তর দুদক দিবেন ? আর দেবেই না কেনো আবদুল হাইয়ের কোনো দোষ খুজে পাননি কেউ । আর কেনো পাননি সেটা দুদক বলতে পারবে । আর এটা নতুন নই যে তাকে নিয়ে কথা এই নতুন হচ্ছে । বেসিক ব্যাংক নিয়ে কথা হয়েছিলো ২০১২ সাল থেকেই শুরু হয়েছিলো । জাতীয় দল তাকে ২০০৯ সালে প্রথম দফা তিন বছর এবং ২০১২ সালে আরও দুই বছরের জন্য তাকে পরিচলনা পরিষদের চেয়ারম্যান বানানো হয় । এবং তারপর ২০১৩ সালের ১১ জুলাই বেসিক ব্যাংকের পরিচালক যিনি ছিলেন যুগ্ম সচিব এ কে এম রেজাউর রহমান  ব্যাংক, এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে দেওয়া একটি চিঠিতে তাকে নিয়ে লেখা হয়েছিলো এটা যে তিনি একমাত্র প্রধান মন্ত্রী কে ছাড়া অন্য কাওকে পরোয়া করে চলেন না । ব্যাংকের সব কাজ চলে চেয়ারম্যানের কথায় । সব কিছুর সিদ্ধান্ত তিনি নেন । তারপর থেকে শুরু হয় বেসিক ব্যাংকের অনিয়ম , জালিয়াতি ও দুর্নীতি এবং ২০১৩ সালের আগষ্ট মাসে অর্থমন্ত্রী কাছে  একটি চিঠি দেন বাংলাদেশ ব্যাংক । চিঠিতে লেখা ছিলো  ঋণশৃঙ্খলা ব্যাংক পুরো পুরি ভাবে ভেঙ্গে ফেলেছেন । ব্যাংকের অবস্থা দিনে খারাপ হতে লাগলে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৪ সালে মে মাসে বেসিক ব্যাংকের পরিচলনা পরিষদ ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ পাঠান । আবদুল হাই কে সরকার আটক না করে ২০১৪ সালের জুলাই মাসে তাকে পদত্যাগ করার জন্য তাকে সুযোগ দেওয়া হয় । তখন কার সময় অর্থমন্ত্রী ছিলেন - আবদুল মুহিত । আর উনি ২০১৫ সাল থেকে আবদুল  হাইকে নিয়ে কথা শুরু করেন । ওই বছরেই জাতীয় সংসদে দাড়িয়ে বলেছিলেন জালিয়াতি দের ধরতে বাধা দিচ্ছে নিজের দলের লোক । এবং সচিবলায় সাংবাদিক দের বলেন আবদুল হাই যতোই শক্তিশালী হক না কেনো তাকে শাস্তি দৌয়া হবে । কারন ছিলো ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে । এবং ২০১৭ সালে তাকে ৬ বার ডেকে নিয়ে প্রশ্ন করে দুদক । আর তারপর একই ভাবে চুপ হয়েছেন তারা ।এখন দুদকের কাছ থেকে জানাটা খুব জরুরী কারন এখানে সাধারণ মানুষের টাকা নিয়ে কথা । সাধারণ মানুষ এটা ভেবে ব্যাংকে টাকা রাখেন তাদের টাকা হেফাযতে থাকবে । কিন্তু যারা এই টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন তাদের শাস্তি টা খুব দরকার । 

আরও পড়ুন

×