প্রকাশিত: 15/10/2019
নারীদের অনুপ্রাণিত করতে চই ।
এই বছরে অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন এ স্থার ডাফলো ও অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। এস্থারে ডাফলো ফরাসি বংশোদ্ভূদ মার্কিন অর্থনীতিবিদ । ৪৬ বছর বয়সী ইনি হলেন বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী । এ ছাড়াও অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন তিনি দ্বিতয়ী নারী । আর তিনি মনে করেন , তার এই পাওয়া অন্য নারীদের জন্য অনুপ্রেরণা জোগাবে । তিনি এটাও বলেন , এই পুরস্কার পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করেন তিনি । গতকাল সোমবার বিকলি ৩ টায় রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে , যে নামের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে এ বছরের নোবেল পুরস্কার বিতারণ । আর এবার অর্থনীতিতে তিনজন নোবেল পেয়েছেন । এর মধ্যে আছে এস্থার ডাফলো , এবং তার স্বামী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মাইকেল ক্রেমার । অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন অমর্ত্য সেনের পর দ্বিতীয় বাঙালি, যিনি অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন। অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে গবেষণায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ যৌথভাবে তাঁদের তিনজনকে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক এ পুরস্কার দেওয়া হয়। ডাফলো বলেন আমি নারীদের অনুপ্রাণিত করতে চান । একজন নারীও পারেন সফল হতে এবং সাফল্যের স্বীকৃতি পাওয়াও তার পক্ষে সম্ভব । আমার এই সাফল্য জন্য আমি নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি এবং আমাকে দেখে অন্য নারীরা তাদের কাজ চালিয়ে যেতে উৎসাহ হবে । এমনকি পুরুষেরা ও তাদের প্রতি এই জন্য সম্মান জানাবে যে একজন নারী ও তার পাপ্য পেতে পারে ।এস্থার ডাফলোর স্বামী অভিজিৎ বিনায়ক তাঁর পিএইচডি সুপারভাইজার ছিলেন। এই মুহূর্তে ফোর্ড ফাউন্ডেশনের আন্তর্জাতিক অধ্যাপক হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমআইটিতে পড়াচ্ছেন অভিজিৎ বিনায়ক। এস্থারের গবেষণাও এমআইটি থেকে। আরেক নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ক্রেমার ভারত ও আফ্রিকার দরিদ্র জনগোষ্ঠী নিয়ে কাজ করেছেন। ৫৪ বছর বয়সী মাইকেল ক্রেমার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। তিনি সেখানকার ডেভেলপিং সোসাইটিজের গেটস অধ্যাপক।
এই তিন অর্থনীতিবিদের গবেষণায় দেখানো হয়েছে, কোন বিনিয়োগ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং দরিদ্র মানুষের জীবনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে। উদাহরণ দিয়ে বলেন, ভারতে তাঁদের গবেষণায় দেখা গেছে, এখানকার শিক্ষকদের মধ্যে অনুপস্থিতি অনেক বেশি। তাঁরা দেখেছেন এসব শিক্ষককে যদি স্বল্পমেয়াদি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া যায় এবং ভালো কাজ করলে মেয়াদ বাড়ানো হবে, এমন চুক্তিতে আনা যায়; তাহলে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় আরও বেশি ভালো ফল করবে।
আরেকটি গবেষণায় তাঁরা এটাও দেখেন, পরজীবী দ্বারা আক্রান্ত ইনফেকশনের ক্ষেত্রে ওষুধ যদি বিনা মূল্যে সরবরাহ করা হয়, তাহলে তিন-চতুর্থাংশ মা-বাবা সন্তানকে ওই ওষুধ দেন। কিন্তু ওই ওষুধের দাম যদি এক ডলারের নিচেও রাখা হয়, তখন মাত্র ১৮ শতাংশ মা-বাবা ওই ওষুধ তাঁর সন্তানকে দেন। তাঁদের গবেষণায় বলা হয়, এসব ক্ষেত্রে ওষুধ বিনা মূল্যে সরবরাহ করা হবে কি না। আর যদি দাম নির্ধারণ করা হয়, তাহলে তা কত হলে মা-বাবা সন্তানদের ওই ওষুধ দেবেন।